সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর শহরের পঞ্চবটি গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদীতে শনিবার সকাল থেকে অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শুক্লা পক্ষের অষ্টমী তিথির এই দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদীতে অষ্টমী স্নান করে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বৈদিকমন্ত্র উচ্চারন সহব্রহ্মপুত্র নদীতে পূর্ব পূরুষের আত্মার শান্তির জন্য তর্পন করেন।
ভোর বেলা থেকেই দলে দলে পুণ্যার্থীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর পারে ছুটে আসেন। নদীতে স্নান সেরে গঙ্গা দেবীর পূজা অর্চনা করেন । সকাল থেকে ভৈরব সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থীরা স্নানে মিলিত হয়ে প্রসাদ বিতরন, ব্রাহ্মণদের দক্ষিণা প্রদান, প্রার্থণায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত হিন্দুধর্মালম্বী ভক্তরা সহ অনেকেই নদের পাড়ে বাস শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করতে দেখা যায়।
এছাড়াও হাতে তিলের জল, ফুল দুর্বাঘাস নিয়ে স্নাননের পাশাপাশী প্রার্থণায় মন দিচ্ছে। ইচ্ছা পূরণে নদে ফলে ছুড়ে দিচ্ছে। তিলক গ্রহনসহ শতাধিক পসরায় স্বর্গীয় পিতা মাতার নামে চাল, ডাল ও টাকা দেয়া সহ তর্পন দানে মনযোগ দিতে দেখা যায়। এ দিকে অষ্টমী স্নান উপলক্ষে একদিন ব্যাপী মেলায় নাগরদোলা, বি়ভিন্ন দোকান ও ষ্টল বসেছে ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল অব্যাহত থাকার পাশাপাশি পূর্ণার্থীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরী করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সনাতনধর্মীরা জানান , আমাদের পূর্বপুরুষগণ এখানে স্নান উৎসব করে আসছে। বাংলাদেশে অন্যান্য জায়গার মতো ভৈরবেও স্নান উৎসব চলছে শতাধিক বছর ধরে।
এতে ভৈরব সহ পাশ্বর্বতী জেলার লোকজনও এ উৎসবে ছুটে আসে। দূরের অনেকে নৌকা রিজার্ভ নিয়ে স্নান উৎসবে অংশ গ্রহন করে। তারা আরো বলেন সুন্দর পরিবেশ ও ঘাট না থাকায় আগত দর্শনার্থীরা কষ্ট করে উৎসব পালন করে থাকে। ঘাট নির্মাণ করার দাবী জানান।