চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে অবরোধ করেছেন চবি শিক্ষার্থীরা। এসময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃতদের মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধঘণ্টা পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ অবরোধ শেষ হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাফকাত বলেন, “আজ ৭দিন হয়ে গেলেও অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের পাহাড় কিংবা সমতলে কোথাও এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। অপহৃতদের মুক্তির বিষয়ে সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমরা দ্রুত অক্ষত অবস্থায় তাদের মুক্তি চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুইসাং খুমি বলেন, “আমাদের অপহৃত ভাই-বোনদের দ্রুত মুক্তি চাই। পাশাপাশি অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, “এতদিনেও আমাদের চবি শিক্ষার্থীদের এখনো মুক্তি মেলেনি। যৌথবাহিনী এখনো তাদের কোন সন্ধানই সনাক্ত করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। আমরা অতি শিগগির আমাদের ভাই-বোনদের মুক্তি চাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে (রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান) পুরো দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেব।”
এর আগে, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।