ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হতে চায় কানাডার মানুষ: ডোনাল ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হতে চায় কানাডার মানুষ: ডোনাল ট্রাম্প

আর্ন্তজা‌তিক ডেস্ক:  অঙ্গরাজ্যে বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাস্টিন ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম রাজ্যের অংশ হতে পছন্দ করে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র ভোগ করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে এবং তারা রাশিয়ান ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। এক সঙ্গে, এটা একটি মহান জাতি হবে!!!’

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বরও, ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কেউ উত্তর দিতে পারে না, কেন আমরা কানাডাকে বছরে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি ভর্তুকি দেই? অনেক কানাডিয়ান চান কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক। এটি কর ও সামরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে অনেক খরচ বাঁচাবে। আমি মনে করি এটি একটি দারুণ ধারণা। ৫১তম অঙ্গরাজ্য!!!’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এর পরেই ডিসেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যান এবং ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই সময়েও ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেছিলেন যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার (৬ জানুয়ারি) তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয়তার পতন এবং লিবারেল দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর তিনি বলেছেন, নতুন নেতা নির্বাচিত হলে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।

এই পদত্যাগের মাধ্যমে কানাডার রাজনীতির একটি দীর্ঘ অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ট্রুডো লিবারেল পার্টিকে রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা থেকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছিলেন।

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও ট্রুডো বলেছেন, নতুন লিবারেল নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দল এবং দেশের নেতৃত্বে থাকবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular