নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বর্ণিল এক বৈশাখী মেলা, যার আয়োজন করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল। আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এ মেলার মূল প্রতিপাদ্য—নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত সম্ভাবনা বিকাশ।
মেলার উদ্যোক্তা ও রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী জানান, এই উদ্যোগ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ‘বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্নেরই অংশ। তার ভাষায়, “সংস্কার মানে শুধু শাসনব্যবস্থার রূপান্তর নয়, এর মানে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, নারীকে সমাজে সমান মর্যাদা দেওয়া এবং যুবসমাজকে সচেতন করে তোলা।”
এছাড়াও মেলাকে ঘিরে থাকবে নানা আয়োজন। শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৫০টিরও বেশি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে থাকবে দেশীয় হস্তশিল্প, নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য, খাদ্যপণ্য ও শিক্ষামূলক সামগ্রী। থাকবে বাংলাগান, লোকনৃত্য ও কনসার্ট। এছাড়া রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থাকবে কুইজ প্রতিযোগিতা, যার বিষয়বস্তুতে থাকবে বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ও নারীর উন্নয়নে দলের ইতিবাচক অবদান। বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জানান, বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখন নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. অবৈতনিক নারী শিক্ষা চালু।
২. নারী সেনা ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ।
৩. গার্মেন্টস খাতে লক্ষাধিক নারীর কর্মসংস্থান।
৪. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীর প্রতি সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুক, ধর্ষণ, শিশু ও নারী পাচার ইত্যাদির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। একইসাথে থাকবে ডে-কেয়ার সেন্টার, মাতৃসদন, শিশু শ্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ও নারীর জন্য অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
রাবি ছাত্রদলের নেতাদের ভাষ্যে, “সমাজের অর্ধেক নারী, তাদের বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। বৈশাখী মেলার মাধ্যমে আমরা শুধু উৎসব নয়, বরং নারী জাগরণ, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলছেন, “রাজনীতি যদি সমাজ উন্নয়নের কথা বলে, এমন উদ্যোগ অবশ্যই উৎসাহিত করা উচিত।”