নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের একমাত্র সিএনজি ফিলিং স্টেশন প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে জ্বালানি সংকটে ভুগছে জেলার ২০ হাজার সিএনজি চালিত যানবাহন।
অন্য দিকে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবহন চালক ও মালিকরা। তবে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দ্রুত স্টেশন চালু করার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গত বছর ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রীন লাইফ গ্যাস ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হন।
পরবর্তীতে একই বছরের ১১ ডিসেম্বর আরও একটি বিস্ফোরণে দুইজন নিহত এবং দুইজন আহত হন।
এসব ঘটনার পর ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
স্টেশন বন্ধ থাকায় নোয়াখালী সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূর থেকে গ্যাস সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
সিএনজি চালকরা জানান, নোয়াখালী থেকে গ্যাস আনতে ২৫ কিলোমিটার যেতে হয়েছে। খারাপ রাস্তার কারণে সময়মতো গ্যাস পাওয়া যায় না। এতে জমা দিতে এবং সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে যেতে খুব বিপদে পড়তে হয়।
ফিলিং স্টেশনের শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্টেশনটি চালু হলে ব্যবসায়ীদের অনেক উপকার হবে।
গ্রীন লাইফ গ্যাস ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক আল আমিন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে এবং জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে স্টেশন পুনরায় চালু করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, আমরা দ্রুত ফিলিং স্টেশনটি চালু করতে চাই। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল সার্ভিসের কারিগরি মতামতের অপেক্ষায় আছি।
লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ২০ হাজার সিএনজি চালিত যানবাহনের ওপর এ সংকটের প্রভাব পড়েছে।