মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম, কুমিল্লা প্রতিনিদি
পবিত্র মাহে রমজান শেষ হলেও কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর লাকসাম উপজেলাগুলোর হাট-বাজারজুড়ে হোটেল রেস্তোরাসহ নানান জাতীয় খাবার দোকানগুলোতে অপরি”ছন্ন পরিবেশ, বাসী-পঁচা খাবার বিক্রি এখন যেন অপেন সিক্রেট। ওইসব খাবার দোকানগুলোতে ভেজাল খাবার বিক্রি ঘিরে স্বাস্হ্য ঝুঁকি বাড়ছে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের। যে যারমতো করে ওই সব বানিজ্য চালা”েছ তারা। পবিত্র রমজান মাসে স্থানীয় প্রশাসন বারবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও ওদের দমাতে পারে নি। ওদের দৌরাত্ব এখনো কমেনি।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের বে-সরকারি হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসক জানায়, আমরা প্রতিনিয়ত হোটেল রেস্তোরা কিংবা নানাহ খাবার দোকানে খাবার খাওয়ায় মানুষের শরীরে নানা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। কারন ওইসব খাবারে ব্যবহার করা হয় মনোসোডিয়াম, গ্লুটামেট, পলিথিন, কালার রংসহ নানা রাসায়নিক দ্রব্য। ফলে মানবদেহে ডেকে আনতে পারে জটিল মারাত্মক রোগ।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ওইসব খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষতিকর নানাহ রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রনের ফলে মানবদেহে চুলকানি, জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ নানাহ জটিল রোগের পাশাপাশি শরীরের যকৃত, বক্ষ, বায়ুনালী, রক্তনালী ও গলব্লাডারসহ শরীরের নানান অংশে ক্ষতি সাধন করতে পারে। এমনকি কিডনী, হার্টসহ ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া ইট ও কাঠেরগুড়া মিশানো খাবারের মসল্লা, ভৌজ্যতৈল, আটা, ময়দা, মুড়ি, চাল, চিনি, মিষ্টি, চাপ, গ্রিল, হালিম, চটপটি, কেক ও বিস্কুটসহ নানান জাতীয় খাবারগুলো ভেজাল মুক্ত নয়। ৮৫শতাংশ মাছে ফরমালিন, শাক সবজিতে বিষাক্ত ষ্প্রে, ফল-ফলাদিতে কার্বাইড, ইথোপেন, ফ্রিজারভেটিভসহ ক্ষতিকর নানাহ বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো হচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে মানবদেহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ।
এ ব্যাপারে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।