সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামে শিরনির আয়োজন নিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত।শনিবার সকাল এ সংঘর্ষ ঘটে।এতে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলী জানান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক সুফি মিয়া ও বিএনপি সমর্থক নূর মিয়ার লোকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুই নেতা গ্রামের প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার গ্রামে শিরনির আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়।
এ নিয়ে নূর ও আব্দাল মিয়াসহ তাদের অনুসারীরা লোকজন বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়ান। এর জেরে ধরে শনিবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একই স্থানে শিরনির আয়োজনের ঘোষণা দেন দুই পক্ষ। এর জের ধরে দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হন। খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলী বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হই। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।