শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. জাকারিয়া বাদল (৪৭)। মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত জাকারিয়া বাদলের বাড়ি উপজেলার ভীমগঞ্জ গ্রামে। তিনি সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তারা হলেন, ভীমগঞ্জ গ্রামের সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাদলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ওই দুই নেতার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাকারিয়া বাদল ও তার দুই সহযোগী মোটরসাইকেল যোগে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপির স্থানীয় নেতা লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় জাকারিয়া বাদলসহ অপর দুজনকে লক্ষ্য করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জাকারিয়া বাদলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাকারিয়া বাদল মারা যান। জাকারিয়ার মৃত্যুর সংবাদ জানার পর থেকে এলাকার জনমনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে সদর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।