ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeজাতীয়চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

বিনোদন ডেস্ক :   জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র ওরফে হাসান ইমামের দুটি জানাজা শেষে সোমবার আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন। এরআগে প্রথম জানাজা এফডিসি ও দ্বিতীয় জানাজা চ্যানেল আইয়ে সম্পন্ন হয়।

এদিকে প্রবীর মিত্রকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে এসেছিলেন তার সহকর্মীসহ নবীন-প্রবীণ চলচ্চিত্রকর্মীরা।

উল্লেখ্য, রোবাবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ প্রবীর মিত্র সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর

প্রসঙ্গত, প্রবীর মিত্র শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এফডিসিতে এই অভিনেতার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ও এফডিসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

প্রবীর মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস), চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, ফিল্ম ক্লাবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।

প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পুরান ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রবীর মিত্র। পরবর্তীতে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ নামে একটি চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েছে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়। মূলত এ ছবিতে কাজের ব্যাপারে তার বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামানই তাকে সহযোগিতা করেছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

তিতাস একটি নদীর নাম, চাবুক-এর মতো সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে প্রবীর মিত্রকে। এ ছাড়া রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি। এ কারণেই অনেকে তাকে ঢাকাই সিনেমার রঙিন নবাব বলে ডাকতেন।

তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো—জীবন তৃষ্ণা, সীমার, তীর ভাঙা ঢেউ, প্রতিজ্ঞা, অঙ্গার, পুত্রবধূ, নয়নের আলো, চাষীর মেয়ে, দুই পয়সার আলতা, আবদার, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ইত্যাদি। অনলাইন ফিল্ম স্ট্রিমিং পরিষেবা কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত বড় ভালো লোক ছিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। আর ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular