সুমন আদিত্য, জামালপুর প্রতিনিধি: এক ঘর হিন্দু হয়ে আমার ভাইকে মেরেছে। ওরা এত সাহস পায় কোথা থেকে? লোকজন ডাক দে। আজ ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে ওই আগুনেই ওদের পুড়িয়ে মেরে ফেলবো। এমন ঘোষণা দিয়ে সংখ্যালঘু সাংবাদিকের বাড়ীঘর ঘেরাও করে বাড়ীতে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি আগুন লাগানোর পাঁয়তারা করে ভূমিখেকো সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান তালুকদার বাবুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
জানা যায়, এর আগেই কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মম’কে দা দিয়ে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করা হয়। ঘটনার ১২ দিন পার হলেও পুলিশ ধরতে পারেনি কোন আসামী। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা। রাজনৈতিক মহল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাঝে পরিলক্ষিত হয়েছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা।
সাংবাদিক মম জানান, সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন ছিলাম ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করে। গত ৪ মে সুস্থ হয়ে বাড়ী আসি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তখনও নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আমাকে। পরে গত ৫ মে সোমবার সংবাদিক মম সরিষাবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করতে বাধ্য হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে একদল সন্ত্রাসী সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়ীর বাহির আঙ্গিনায় পেছন দিক থেকে হামলা করে দা দিয়ে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে ওই সাংবাদিককে। এক পর্যায়ে রাস্তার পথিক দৌলতপুর গ্রাম নিবাসী ওমর ফারুক ও ইমনের সহযোগিতায় মম’কে তার বাড়ির ভিতরে পাঠানো হলে সন্ত্রাসী ওই গ্রুপটি আহত সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং হুমকি ধমকি-ধামকি দিতে থাকে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আহত অবরুদ্ধ কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মম’কে সন্ত্রাসীদের কবল হতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এজাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের
আইসি রফিকুল ইসলাম মুঠেফোনে জানান, এই মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
আসামীদের জামিনের বিষয়ে সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মম কিছুই জানেন না এবং হতাশ ব্যক্ত করে বলেন, আাসামীদের জমিন আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালো।