ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeজাতীয়সেন্টমার্টিন প্রবেশে এনআইডিসহ লাগবে লিখিত অনুমতি

সেন্টমার্টিন প্রবেশে এনআইডিসহ লাগবে লিখিত অনুমতি

নিউজ ডেস্ক : নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে পর্যটকরা যেতে পারবেন, তবে থাকতে পারবেন না এমন ঘোষণা থাকলেও দ্বীপ ভ্রমণের সব ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। দ্বীপটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের আত্মীয় স্বজনরাও বেড়াতে আসতে পারছেন না। অন্যদিকে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধা থাকার কথা নয়।

যাত্রীবাহী ট্রলার বা সার্ভিস বোট চলাচল করলেও ভ্রমণ করতে লিখিত অনুমতি লাগছে। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ছাড়া কাউকে ভ্রমণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দ্বীপের অধিবাসী কি-না নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ট্রলারের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। দফায় দফায় কোস্টগার্ড যাত্রীদের এনআইডি যাচাই করছে।
যাতায়াতের জন্য এখনো সেন্টমার্টিন রূটে পর্যটকবাহী একটিও জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ। গত বছর জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে বন্ধ হয় টেকনাফ রূট। পরে ইনানী সৈকতের নৌ-জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে আসা যাওয়া করতো পর্যটকরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ইনানী জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে জাহাজ চলাচলের সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজশাহী থেকে বেড়াতে এসেছিলেন আয়েশা সিদ্দিকার পরিবার। কিন্তু হলো না ভ্রমণ বন্ধ থাকায়। তিনি বলেন, খুবই আপসেট। অনেকেই আমাদের মতো আশা নিয়ে আছেন। আমরা চাই এই বন্ধটা তাড়াতাড়ি খুলে দিক। যাতে তারা আমাদের মতো আপসেট না হয়।

স্থানীয় বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম বলেন, সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন দেশ, আমি যদি এখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে পারলে, আমার সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশ হইয়া স্বাধীনভাবে আমার বাংলাদেশের লোকজন আসতে পারবে না কেন?

সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার থেকে জাহাজ দিনে গিয়ে ফেরা সম্ভব নয়। তাই নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন জাহাজ যাতায়াত শুরু করতে পারবে কি-না সেটি অনিশ্চিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, পর্যটন পারপাসে এখন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এখন এনজিও কর্মী, গবেষণার কাজে কিংবা সংবাদ সংগ্রহের মতো জরুরি প্রয়োজনে যারা যায়, তাদেরকেই কেবল অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এস এম রাশাদ হায়দার বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভ্রমণ করতে কেউ সেন্টমার্টিন যাতে না আসতে পারে সেজন্য তারা মনিটরিং করছেন। কেউ যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলে আসে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, একচল্লিশ ভাগ প্রবাল ক্ষয় হয়ে গেছে, এটা হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক সকল গ্রহণযোগ্য জার্নালে বলা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫ সালের মধ্যে সকল কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপটা ডুবে যাবে। তখন তাহলে পর্যটনটা থাকবে কোথায়?

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular