নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ডিমলায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস(২৪) ও ছাতনাই দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে ছামিউল ইসলাম (২২)। এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদি হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ছাত্রীটির সাথে প্রায় ছামিউল মোবাইলে কথা বলত।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ছামিউল ছাত্রীটির বাড়ির পাশের এক ভুট্টা ক্ষেতে ছাত্রীটির সাথে দেখা করতে তাকে মোবাইলে সুকৌশলে ডেকে নেন।সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কুদ্দুস ছাত্রীটিকে দেখা মাত্রই তার মুখ চেপে ধরে ছামিউলের সহায়তায় ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন।পরে ছাত্রীটির মা ছাত্রীটিকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে আশ-পাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভুট্টা ক্ষেতে গেলে তার উপস্থিতি টের পেয়ে ছামিউল ও কুদ্দুস ছাত্রীটিকে রেখে পালিয়ে যান।এ সময়ে ছাত্রীটির মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে তার মুখে সবকিছু জানতে পায়।ছাত্রীটির রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় পরেরদিন শুক্রবার ছাত্রীটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছাত্রীটিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ অভিযুক্ত কুদ্দুস ও ছামিউলকে গ্রেপ্তার করেন।পরে ছাত্রীটির বাবা বাদি হয়ে ডিমলা থানায় গ্রেপ্তারকৃত দুজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নম্বর-১,তারিখ-১/৩/২০২৫ইং দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ফজলে এলাহী বলেন,এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদি হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।আমরা ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি।