সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অগাম বন্যার শঙ্কায় হাওরের বোরো ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় ধান কাটা শুরু করেছেন তারা। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ ভাগের বেশি জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক জরুরি বার্তায় বলা হয়, আগামী ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কাও করা হয়। এ জন্য হাওরের ৮০ ভাগ ধান পাকলেই দ্রুত কাটতে কৃষকদের অনুরোধ জানান উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের কৃষক তারেক রহমান বলেন, হাওরের বোরো ধান নিয়ে আমরা চিন্তিত। নানা শঙ্কার মধ্যেও ধান কাটা শুরু করেছি। বাঁধের অবস্থা বেশি ভালো নয়। ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের পানি আসলে নলুয়ার হাওরের ক্ষতি হতে পারে। তবে প্রতিনিয়তই বাঁধগুলো উপজেলা প্রশাসন তদারকি করছেন। মইয়ার হাওরের কৃষক নাঈম মিয়া বলেন, প্রশাসনের জরুরি বার্তা পাওয়ার পর সবাই ধান কাটা শুরু করেছে। অধিকাংশরাই পুরো ধান পাকার আগেই কেটে নিচ্ছেন। কেউই ঝুঁকি নিতে যাচ্ছেন না। কারণ এই বোরো ফসল সারা বছরের খাবার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ছোট-বড় সব হাওরেই কমবেশি ধান কাটা শুরু হয়েছে। যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকেছে, সেই জমির ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের অনুরোধ করেছি। এবার ১২টি হাওরে মোট ২০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে। ধান কাটার জন্য ৭৪টি মেশিনসহ প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।