ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসারাদেশকক্সবাজারহুমকির মুখে শাহপরীর দ্বীপবসী

হুমকির মুখে শাহপরীর দ্বীপবসী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:   কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে নির্মিত জেটি ২১ বছরের সংস্কার হয়নি। ফলে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেটিটি। ধ্বসে পরছে জেটির রেলিংসহ বিভিন্ন অংশ। ফলে বড়ো ধরনের দূর্ঘটনার আশংঙ্কার পাশাপাশি হুমকির মুখে দ্বীপবাসি।

স্থানীয়রা বলছে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ অংশের নাফ নদ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের নিচু এলাকা। প্রায় হাজার একর সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ভরাটের কারনে ঝুঁকিতে পড়েছে শাহপরীর দ্বীপের পর্যটন জেটিসহ এলাকাটি। বালু উত্তোলনের কারনে জেটির খুঁিটর আশপাশ দাবিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেটির রেলিংসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পরছে। এমনকি ভবিষ্যতে পুরো গ্রামটি ঝুঁকিতে পরতে পারে। মেসার্স চায়না হারবাল নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান নাফনদ থেকে এ বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রেখেছে। যদিও সরকার পতনের আগে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছিল স্থানীয় লোকজন।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে পযর্টকসহ জেলেদের নৌযান এবং মিয়ানমারের পশু করিডোর সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ৫৫০ মিটার লম্বা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে জেটিটি নির্মাণ করছে। এ জেটিতে বিশ্রামাগার, শৌচাগার ও চারটি সিঁড়ি রয়েছে। এছাড়াও জেটি ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে জেটিটির পাশে রাখা হয়েছে গাড়ি পার্কিং স্পট। পরে জেটিটি ২০০৪ সালে কক্সবাজার জেলা পরিষদকে স্থানান্তরিত করলে, সেটি ২০০৬ সালে উদ্বোধন করে উম্মুক্ত করা হয়।

সরেজমিনে, টেকনাফ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে সীমন্ত সড়কের পূর্বে নাফনদে বুকে বয়ে গেছে জেটি। সেখানে পর্যটকদের পাশাপাপাশি মানুষের চলাচলে ভীড় রয়েছে। জেটির রেলিংসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে বালিতে পরে থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি ভাঙান ঝুঁকিপূর্ণ জেটি দিয়ে চলাচল করছে পর্যটকসহ স্থানীয় লোকজন। সেসময় জেটি মুখে দায়িত্ব পালন করছে সীমান্তরক্ষী বিজিবির সদস্যরাও।

দ্বীপের বাসিন্দা মো. শাহীন আলম জানান,বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা শাহপরীর দ্বীপের জেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ২০০৬ সালে জেটিটি উদ্বোধনের পর কোন সময় সংস্কার করতে দেখা যায়নি। ফলে জেটির রেলিং কন্টাক্টশন যা আছে সব ভেঙ্গে যাচ্ছে। জেটির ভয়াবহ অবস্থা। নাফনদের বুকে গড়ে উঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসে এ জেটিতে। এছাড়া জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনও চলাচল করে থাকে। তাই এটি খুব দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে শত শত পর্যটকদের আনাগুনা রয়েছে। ফলে জেটিতে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন পেশাজীবি শত পরিবারের। এই জেটি ধ্বসে পরলে কষ্টে পড়বে পুরো দ্বীপবাসি। তাই সরকারের কাছে অুনরোধ করছি, দ্রত এই জেটি সংস্কারের।

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ বলেন, শাহপরীর দ্বীপ জেটি সংস্কারের বিষয়ে এক বৈঠকে এলজিইডিকে একটি চিঠি পাঠানোর আলোচনা হয়েছে। চিঠি পাঠানো হলে, জেটি সংস্কারের বাজেট নির্ধারন করে দেবে তাঁরা। এরপর বলা যাবে জেটিটির সংস্কার করতে কি পরিমান ব্যায় হবে। তারপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তবে টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা রবিউল হোসাইন বলেন, ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় নির্মিত শাহপরীর দ্বীপের জেটিটি জেলা পরিষদকে ২০০৪ সালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তখন থেকে জেটি সংস্কার ও দেখবালের দায়িত্ব তাদের (জেলা পরিষদের)।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular