নিউজ ডেস্ক : একজন করদাতার আয়কর রিটার্ন হচ্ছে বার্ষিক আয়-ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম। আয়কর আইন অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আর এই রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। রিটার্ন দাখিলের শেষ সময়ে প্রতিটি কর অঞ্চলের বুথগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
রিটার্ন দাখিলের আর মাত্র দুদিন বাকি থাকায় করদাতাদের সময় থাকতে রিটার্ন দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছে এনবিআরের আয়কর বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। যদিও ব্যবসায়ী সংগঠন ও কর সমিতিসহ বিভিন্ন ফোরাম থেকে সময় বৃদ্ধির দাবি উঠেছে।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৮২ লাখের বেশি করদাতা ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন নিলেও এখনও কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন দাখিল হয়নি। সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশের ৩১ কর অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে ই-রিটার্ন দাখিল হয়েছে এক লাখের বেশি।
গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৬ লাখের বেশি রিটার্ন দাখিল হয়েছিল। চলতি বছর অন্তত ৪০ লাখ রিটার্ন দাখিলের প্রত্যাশা রয়েছে এনবিআরের। প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনও অনেক পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি।
করদাতাদের সুবিধার্থে নভেম্বরেজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালে নিরবচ্ছিন্নভাবে মেলার পরিবেশে করসেবা দেয়া হচ্ছে। যেখানে রয়েছে হেল্প ডেস্ক, রিটার্ন গ্রহণ বুথ, ই-টিআইএন, ই-রিটার্ন ও এ-চালানের আলাদা বুথ।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘করদাতারা রিটার্ন তৈরি করে মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছেন প্রাপ্তি স্বীকারপত্র। কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে অনেকে রিটার্ন পূরণ করছেন। এখানে সব ধরনের ফর্ম বিনা মূল্যে দেয়া হচ্ছে। করদাতাদের সুবিধার্থে নভেম্বরজুড়ে করের যাবতীয় সেবা দেয়া হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে করদাতাদের চাপ তত বাড়ছে। আশা করছি, আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।
আয়কর নির্দেশিকা ২০২২-২৩ অনুযায়ী, ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে কারণে রিটার্ন দাখিলের বিকল্প নেই ই-টিআইএনধারীদের।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: