• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পতিত জমিতে সবজি চাষে নন্দি বর্মনের চমক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৪২ এএম
পতিত জমিতে
সবজি চাষে নন্দি বর্মনের চমক

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে চমক লাগিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের নন্দি কুমার বর্মনের । তিনি পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় বাড়ির সামনের ফাঁকা জমিতে তিনি বিভিন্ন ধরনের এ সবজি চাষ করেন। তার সবজি বাজানে উৎপাদনকৃত শাক-সবজি নিজের পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে আশ পাশের মানুষজনকে দিয়েছেন। এছাড়াও বাড়তি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার খবরও জানান তিনি।  

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দেখা যায় পৌর শহরের জমিদারপাড়া (সার্প) অফিসের সামনে ফাঁকা প্রায় ৮৫ শতক জমিতে তিনি সবজি চাষ করছেন। তাকে সবজি বাগানে পানি দিতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করতে দেখা যায় তাকে। সেখানে তিনি, লাল শাক, পালং শাক, নাপা শাক, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, শসা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে লাল শাক, পালং শাক বেশ কয়েকবার তুলে নিজের খেয়েছেন, আশ পাশের মানুষ, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়েছেন এবং বাজারে বিক্রিও করেছেন। 

পৌর শহরের জমিদারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা নন্দি কুমার বর্মন বলেন, জমিদারপাড়ায় শাকের বাগানের এখানকার প্রায় ৩ বিঘা (১৫০ শতক) জমি মরহুম তাহের জামাল চৌধুরীর। এখানে একটি বেসরকারী সংস্থাকে কিছু জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পরে ছিল। করোনা মহামারী শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন বাড়ির এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না। সেই ধারনা থেকেই এখানে সবজি বাগান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। পরে ফাঁকা জমিতে লাল, পালং, নাপা শাক, শসাসহ বিভিন্ন জাতের ঘাষ চাষ করি। আবাদও ভালো হয়; পরে শাক-সবজি নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হয়। তার পরও উদ্বৃত্ত শাক-সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে সবজি চাষের বিষয়টি যুগোপযোগী। তিনি চাইলে যে কোন ধরনের পরমর্শ ও সুবিধা কৃষি বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। চলতি শীতকালীন মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের শাক সবজি বাজারে রয়েছে; আরও কিছু সবজি আবাদ চলমান রয়েছে। আশা করা যায় এ বছরও সবজির ভাল ফলন হয়ে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image