নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধি দল হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের প্রতিনিধি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভাকক্ষে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। সমন্বয়কদের মধ্যে রয়েছেন সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহস আরও কয়েকজন।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, ‘কথায় কথায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা মেনে নেয়ার মত নয়। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলার ঘটনায় দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।’
এর আগে দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ এ ঘোষণা দেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশের সব হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বিইউবিটির শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসকদের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে এসে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করেন; ভাঙচুর চালান। এতে আহত হন তিন চিকিৎসক।
এছাড়া সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলায় একজন মারা যান। এ ঘটনায় চাপাতিসহ চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
অপরদিকে, রাতে বিষপান করে হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন তারা। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই হাসপাতালটির চিকিৎসকরা রোববার সকাল থেকে অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছেন। বন্ধ রয়েছে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা। এরপর দুপুরে দেশের সব চিকিৎসক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: