
কেরানীগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার কেরানীগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ও ভাবির দেয়া আগুনে দগ্ধ ছোট ভাই জিমি আলী (৩০) মারা গেছেন। এ বিষয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আসামী পালাতক । জনি ও জিমি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আলিনগর এলাকার মৃত তাহের আলীর সন্তান।
১৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে দগ্ধ ছোট ভাই জিমি আলী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন জিমির মা ডলি বেগম। গত ১১ই অক্টোবর। জিমি আলীর স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে বড় ভাই জনি ও তার স্ত্রী লিজাকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জনি ও জিমি দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি জেরে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। ৯ অক্টোবার রোববার রাত ১২টার দিকে খাবার শেষ জিমি ও তার স্ত্রী পপি ঘুমিয়ে যান। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে জানালার পর্দায় আগুন জ্বলতে দেখে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে তা নিভানোর চেষ্টা করেন তারা। এ সময় আগুন আগুন বলে চিৎকার করে। জনি ও তার স্ত্রী এগিয়ে আসনি। এতে জিমি মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় জিমিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শেখ হাসিনার বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
জিমির স্ত্রী বলেন, তার স্বামীকে পরিকল্পীত ভাবে পর্দার কাপড়ে আগুনে লাগিয়েছে বড় ভাই জনি। বড় ভাই জনি ও তার স্ত্রী এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে জিমির স্ত্রীর অভিযোগ । তার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে দাবী করেন পপি বেগম।
ভাড়াটিয়া রুনিয়া বেগম জানান, মধ্যরাতে আগুনের চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরিবারে সবাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভাড়াটিয়া আশিক বলেন, আগুনের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ঘরের দরজা ও থাইগ্রাস ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ীর মালিক জিমি ভাইসহ তার দুই বাচ্চা ও তার স্ত্রীকে আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেও পুড়ে গেছি।
জিমির মা ডলি বেগম বলেন, সম্পত্তির জন্য আগুন লাগিয়ে দিয়েছে জনি ও তার স্ত্রীর সাথে থাকা লোকেরা। তাদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করার দাবী জানান তিনি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: