• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বন্যার পানি আরও বেড়েছে, ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৮ পিএম
২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
বন্যার পানি আরও বেড়েছে

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যার পানির উচ্চতা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ায় ও তারে গাছ উপড়ে পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

একটানা কয়েক দিনের বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা নদীসহ খাল-বিলের পানি বেড়ে গেছে। এতে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন এখন পানিতে ডুবে আছে। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, শুধু পানি আর পানি। গ্রামের পর গ্রাম, মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে আছে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫ লাখ ৩৭ হাজার গ্রাহক আছেন। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৩ দিন ধরে তাঁদের বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় অনেক বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। অনেক স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এতে করে তারগুলো পানিতে ডুবে রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আসাদুজ্জামান বলেন, ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন। গ্রাহকের নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

অন্য দিকে টানা ৫ দিনের ভারী বর্ষণে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ডুবে চাষের প্রায় সব মাছ ভেসে চলে গেছে। এতে লক্ষ্মীপুর জেলায় মৎস্য খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় চাষাবাদ করা প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর আছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুর ডুবে ৯০ শতাংশ মাছ ভেসে গেছে। ৫ হাজার ৩'শ হেক্টর জমির চাষের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের প্রায় ৮০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, নদীতে ভাটা এলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সব কটি স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়। আবার জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এক-দুই দিনের মধ্যে পানি ধীরে ধীরে কমতে পারে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, দুর্গত মানুষদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়। তাঁদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image