• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দেশে ২৩২টি চা বাগানের এক যোগে ধর্মঘটের ডাক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:২৪ পিএম
২৩২টি চা বাগান শ্রমিক
চা বাগান শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার : আগামিকাল ১৩ আগষ্ট থেকে দেশের সকল চা বাগানে সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য  ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ৷ চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবীতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে  চা শ্রমিকরা ৷

ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা  জানান, চা বাগানগুলোর মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ যদি আমাদের মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না জানায় তাহলে আমরা সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশের এক যোগে ২৩২ টি চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট এবং পাশাপাশি চা শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধও করবে বলে জানান ৷

চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি হলেও ১৯ মাস অতিক্রম হয়েছে। এব্যাপারে কোন  উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।  

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নিপেন পাল জানান, গত ৩ আগস্ট আমরা চা বাগানের মালিকদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য ১ সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তারা সেটাতে কোন কর্ণপাত করেন নি৷ তারই প্রতিবাদে আমরা গত ৩ দিন ধরে সারাদেশের সকল চা বাগানে দুই ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছি৷ তারপরও মালিকপক্ষ আমাদের দাবী মেনে না নেওয়ায় আমরা ধর্মঘট করতে বাধ্য হচ্ছি ৷

এদিকে শ্রমিকদের  চলমান এই সমস্যা সমাধানের জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের মৌলভীবাজারস্থ কার্যালয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালকের আমন্ত্রনে মালিকপক্ষ ও চা শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয় কিন্তু সেই বৈঠকে চা বাগানের মালিকপক্ষের কেউ আসেন নি৷

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী জানান, আমরা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবি করছি।  মজুরি বৃদ্ধি চুক্তি ১৯ মাস অতিক্রম হলেও তার কোন অগ্রগতি হয়নি। মাসের পর মাস তারা মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে নানান তালবাহানা করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার  বিকেল ৫ টায়  সমঝোতা বৈঠকের জন্য আমাদের শ্রমকল্যাণ দপ্তরে ডাকা হয়। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম শ্রমকল্যাণ দপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের ২৮ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করতে বলেন। কিন্তু আমাদের শ্রমিকেরা সেটা মানবে না। তা ছাড়া মালিকপক্ষের কেউ বৈঠকে ছিলেন না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা আন্দোলনে গেলে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষেরই ক্ষতি হবে। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা বৈঠক করেছি।

আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ২৮ আগস্ট তাঁদের সঙ্গে বসতে সময় চেয়েছেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখতে বলেছেন। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সেটা মানেনি।

এ ব্যাপারে চা বাগান মালিকপক্ষের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মো: জহিরুল ইসলাম/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image