• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবে মালিক-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৮ পিএম
নবজাতক গায়েবে মালিক-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে

মমিনুল হক রুবেল, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থেকে এক প্রসূতির নবজাতক সন্তান গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামের প্রসূতি লিজা বেগমের স্বামী ফরহাদ আহমেদ বাদী হয়ে খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডা. ডিউক চৌধুরী, গাইনি ও সার্জন ডা. নওরিন পারভেজ, ডা. ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো. অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডলসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী মোছা. লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত¦াবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় আল্ট্রসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। 

সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও গর্ভে দুটি সন্তান আসে। গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এনে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। 

সেদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডা. নওরিন পারভেজ আল্ট্রসনোগ্রাফি করেন। তার রিপোর্টেও দুটি সন্তানসহ দুজনের ওজনও দেখা যায়, একজনের ৩ কেজি অপরজনের ২ কেজি। পরে একই দিন লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন ডা. ইসরাত আহমেদ ও ডা. নওরিন পারভেজ। সিজারিয়ান শেষে হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। 

আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। সন্তান ফিরে পেতে আহাজারি করছেন লিজা বেগমসহ তার পরিবার। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাযায়, এই হাসপাতালে এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ।

ফরহাদ আহমেদ বলেন, গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার আমার স্ত্রী লিজাকে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডা. নওরিন পারভেজ সর্বশেষ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। তার করা রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায় এবং একজনের ওজন ৩ কেজি আরেকজনের ২ কেজি থাকার কথাও রিপোর্টে বলা হয়েছে। লিজার সিজারিয়ান অপারেশন করার পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছে। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেল কোথায়? যে সন্তানটি গায়েব হয়েছে তার ওজন ছিলো ৩ কেজি, যে সন্তানটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তার অবস্থাও তেমন ভালো না, আমার মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা কমে গেছে। সন্তানকে ফিরে পাবার আশায় আমরা এখনো বিভিন্ন হুমকি দমকি মাথায় নিয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে অবস্থান করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাফি ও সিজারিয়ান অপারেশন করা চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি। অনেক সময় আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। সেই অনুযায়ী আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে সিজারিয়ানের সময় গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image