নিউজ ডেস্ক: ১২ ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাঁশের আড়ে নৌকা ডুবিয়ে ও বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষা করেছেন হাজারো কৃষক। উজান থেকে আসা পানির ধাক্কায় বুধবার বিকেলে আকস্মিকভাবে ভেঙে যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া খেয়াঘাট বাঁধ। মুহূর্তেই এ খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এলাকার মসজিদের মাইকে বাঁধ ভাঙার খবর জানতে পেরে এলাকাবাসী বাঁধের পাড়ে জড়ো হতে থাকেন। হাজারো কৃষক বাঁশের আড় বেঁধে ও বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালান।
জারুলিয়া বাঁধটি দিরাইয়ের টাঙ্গুয়ার হাওর উপপ্রকল্প ৩১-এর আওতায় রয়েছে।
হাওরপাড়ের রাড়ইল গ্রামের কৃষক চান মিয়া চৌধুরী বলেন, জারুলিয়া বাঁধটি আটকানো না গেলে জমির ফসল তলিয়ে যেত, এলাকাবাসীর দুঃখ-দুর্দশার সীমা থাকত না। খবর পেয়ে দ্রুত বাঁধে চলে আসি, সবার চেষ্টায় বাঁধটি রক্ষা পাওয়ায় হাজারো কৃষকের কান্না থেমেছে।
কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন বলেন, চারদিকের বাঁধগুলোর অবস্থা খারাপ শুনে আমরা আগেই ২০০ বাঁশ প্রস্তুত রেখেছিলাম। বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে ওই বাঁশগুলো উপস্থিত মুহূর্তে কাজে লাগিয়েছি। বাঁধটি আপাতত আটকে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হলে অথবা নদীতে পানি আরও বাড়লে আবারও বাঁধটি ঝুঁকিতে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় এই বাঁধটি ছিল না। কৃষকদের সহায়তায় বাঁধটি রক্ষা করা গেছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসীম চন্দ্র সাহা বলেন, বুধবার বিকেল থেকে সারারাত এবং বৃহস্পতিবার দিনভর জারুলিয়া বাঁধে কাজ করে হাজারো কৃষক এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। আমরা উপস্থিত থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এবারের উজানের ঢলে যে ক'টি বড় হাওর হুমকিতে পড়েছিল, তার মধ্যে এই হাওরটি অন্যতম।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: