নিউজ ডেস্ক: আদি ব্রহ্মপুত্র তীরে আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে শুরু হচ্ছে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব। তবে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথির লগ্নের বেশিরভাগ পড়েছে বুধবার। তাই সেদিনই হবে মূল উৎসব। ইতোমধ্যে উৎসব নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা প্রশাসন।
লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব আয়োজন কমিটির অন্যতম সদস্য লেখক তারাপদ আচার্য্য বলেন, এ বছর মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৮ মিনিটে স্নানের লগ্ন শুরু হবে। শেষ হবে বুধবার রাত ১০টা ৪৭ মিনিটে। এতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরা কয়েক দিন আগেই আসতে শুরু করেন। অস্থায়ী শিবিরে থাকছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী দেবতা পরশুরাম তাঁর পিতার আদেশ মানতে গিয়ে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যা করেন। মাতৃহত্যার পাপের ফলে কুঠার তাঁর হাতে আটকে যায়। পরে তিনি হিমালয়ের কৈলাস সরোবরে গিয়ে স্নান করে সে পাপ থেকে মুক্তি পান। সেখান থেকে মর্ত্যের মানুষের জন্য পবিত্র পানি লাঙ্গল দিয়ে চষে নামিয়ে আনেন। যেখানে এসে তিনি লাঙ্গল থামিয়ে বিশ্রাম নেন সে জায়গার নাম হয় ‘লাঙ্গলবন্দ’। এ কাহিনি স্মরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এখানে স্নানোৎসব পালন করে আসছেন।
বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও র্যা বের সহস্রাধিক সদস্য নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম কুদরাত এ খুদা জানান, সুষ্ঠুভাবে স্নানোৎসব সম্পন্নে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১৮টি স্নানঘাট সংস্কার করা হয়েছে। নদের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৪৭টি নলকূপ, ১০০ অস্থায়ী শৌচাগার ও স্নানঘাটে কাপড় পাল্টানোর ঘর তৈরি করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: