• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকা দামের সেই বাড়িটি সরকারের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৪ পিএম
ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকা দামের সেই বাড়িটি সরকারের
হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক : সাংবাদিক আবেদ খানের দাবি করা রাজধানী ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের ৩০০ কোটি টাকা দামের আলোচিত সেই বাড়িটি সরকারের বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৫ মে) এ সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে এস নেহাল আহমেদের লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

তথ্য গোপন করে এ বাড়ির মালিকানা দাবি করে রিট দায়ের করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
 
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজধানী ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯ নম্বর বাড়ি সরকারের বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ সোমবার (১৫ মে) সেই রায় বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল থাকায় সাংবাদিক আবেদ খানের জরিমানার রায়ও বহাল রয়েছে।
 
সেটেলমেন্ট কোর্টে হেরে যান আবেদ খান। সে সময় নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তিও বাড়িটির মালিকানা দাবি করেন। তিনটি আদালতে পক্ষে রায় পান নেহাল। তবে রিভিউ শুনানিতে সরকার বুঝতে পারে, মালিকানা নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। পরে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
 
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ধানমন্ডির আলোচিত ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক পরিত্যাগ করে চলে যাওয়ায় সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। 

পরবর্তী সময়ে তোহা খান, আবেদ খান ও অন্যরা ‌ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে ১৯৮৯ সালে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা করেন।
 
ওই মামলায় সাক্ষ্য এবং পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে মর্মে রায় দেয়া হয়।

এ রায় বহাল থাকা অবস্থায় এস নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৯৬ সালে মামলা করেন। এ মামলায় তখন সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দেননি, বা সমর্থনীয় ও আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল না করায় এস নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেয়া হয়।

এ রায় বাস্তবায়নে এস নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। এ মামলাগুলোতে সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্বক প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত দাখিল না করায় হাইকোর্ট পুনরায় এস নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেন।
 
রায়ের বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করায় আদালত আপিল তামাদি ঘোষণা করে সে আবেদন খারিজ করে দেন। এর দীর্ঘদিন পরে পুরো বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে ২০১৮ সালে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টের ১৯৯৭ সালের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে সরকার পক্ষ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সরকারের পক্ষে রুল জারি করে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image