নিউজ ডেস্ক: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি স্বল্পতায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের দক্ষিণবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে দুই নৌরুটে ১০টি ফেরি সচল থাকলেও ২৪ ঘণ্টা চালু থাকছে ৭টি ফেরি।
রায়পুরা, রানীগঞ্জ ও কর্ণফুলী নামের ৩টি ফেরি দিনে চলাচল করার পর সন্ধায় সেগুলো বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আহাম্মদ আলী।
রোববার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গার্মেন্টস ও কলকারাখানা বন্ধ ঘোষনা করায় কর্মজীবী মানুষের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
সকাল থেকে ঘাটে চাপ বেড়েছে। ফেরি সঙ্কটে শিশুসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ।
রোববার সকাল থেকে শিমুলিয়ায় দুই, তিন ও চার নম্বর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কেও দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। আর এক নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কে ৫ হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেল যাত্রীরা রয়েছেন অপেক্ষায়।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোটে ৩৪৫টি ট্রিপে ৮৫ হাজার ঘরমুখো যাত্রী বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি ঘাট হয়ে নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩৫৮টি ট্রিপে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ঈদযাত্রী।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুট সচল থাকা ১০টি ফেরিতে ছোট ছোট যানাবানহন নৌরুট পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩টি ফেরিতে প্রায় ১৭০০ মোটরসাইকেল পদ্মা পারি দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামান জানান, দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাত্রীর চাপ সামাল দিতে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: