• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দেশে মাথাপিছু ঘুষ দেওয়ার পরিমাণ ৬৭১ টাকা: টিআইবি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৪ এএম
টিআইবি
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন টিআইবি শীর্ষ কর্মকর্তারা, ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৭টি সেবা খাতে দুর্নীতির শিকার হচ্ছে প্রায় ৭১ শতাংশ খানা (পরিবার)। বিভিন্ন সেবা পেতে প্রতিটি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আর ব্যক্তিগত হিসেবে দেশে মাথাপিছু ঘুষ দিতে হয়েছে ৬৭১ টাকা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ধবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

টিআইবির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে দেশে ঘুষ দেওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৮৩০ কোটি। মোট ১৭টি সেবা খাতে এই ঘুষের টাকা দিয়েছেন সাধারণ মানুষজন। এ সময় দেশে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত ছিল পাসপোর্ট অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সাড়ে ৭০ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট খাতে। এরপর রয়েছে বিআরটিএ, বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ভূমিসেবা।

কম দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ১৮-৩৫ বছর বয়সীরা। বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৫৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা।

সেবা খাতে ঘুষের শিকার বেশি হয়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। নিম্ন আয়ের লোকজনের ওপর দুর্নীতির বোঝা অপেক্ষাকৃত বেশি। পাসপোর্ট, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মতো কিছু সেবা খাতে ডিজিটালাইজেশন পুরোপুরি না হওয়ায় দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭২ দশমিক এক শতাংশ মনে করেন, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। হয়রানি বা ঝামেলা এড়াতে তারা ঘুষ দেন। খানাপ্রধানের প্রতিবন্ধকতা থাকলে দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার হওয়ার প্রবণতা বেশি।

দুর্নীতির শিকার হলেও অভিযোগ করেননি জরিপে অংশ নেওয়া ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ অভিযোগ করেননি ঝামেলা বা হয়রানির ভয়ে। সব খানেই দুর্নীতি—তাই অভিযোগ করার প্রয়োজনবোধ করেননি ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। সাড়ে ১৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তবে ৭২ শতাংশ অভিযোগের ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সার্বিকভাবে সেবা খাতে দুর্নীতি বেড়েছে। সেবা খাতের দুর্নীতির এই চিত্র উদ্বেগজনক। শুধু সেবা খাতের মাত্রাই এত ব্যাপক। বড় প্রকল্প, বড় কেনাকাটায় দুর্নীতির মাত্রা আরও বেশি বলেই ধারণা করা যায়। দুর্নীতি প্রতিরোধের ব্যবস্থা সরকারের কাছে রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোর প্রয়োগ দেখা যায় না। এই প্রতিবেদন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়ে দুর্নীতি কমাতে উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশা করি। ’

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image