নিউজ ডেস্ক : হাটহাজারীতে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১০ শিক্ষার্থীসহ ১১ জনের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ খন্দকিয়া গ্রামবাসী । সন্তানদের এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না স্বজনরা। বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। অরক্ষিত রেললাইন আর গেটম্যান না থাকায় ক্ষোভ জানান তারা।
স্বপ্ন ছিল সন্তান উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। হাল ধরবে পরিবারের। বাপ-মা বুনেছিলেন হাজারও স্বপ্ন। এক দুর্ঘটনায় ১১ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবারের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
পরিবারের বড় সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসানের মা। মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদ ছিল গগনবিদারী। কোনোভাবেই যেন মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছিলেন না তিনি। অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে নাতির জন্য নীরবে চোখের জল ফেলছিল দাদা।
শুধু হাসান নয়, নিহত সবার বাড়িতেই শোক। সেই সঙ্গে খন্দকিয়া গ্রামের সবার চোখেমুখে শোকের ছায়া। নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার কোনো ভাষাই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
ট্রেনের লাইনগুলো এখনো অরক্ষিত, গেটম্যান না থাকার কারণে বারবার ঘটছে প্রাণহানি। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল। রেলক্রসিং এ যাতে আর কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সজাগ হওয়ার আহ্বান খন্দকিয়াবাসীর।
এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝরনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতীর সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মারা যান ১১ জন। যারা সবাই খন্দকিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: