নিউজ ডেস্ক : ইতিহাসের সাক্ষী হতে এদিন ভোর থেকেই যাত্রীরা ভিড় করেন স্টেশনে। আগারগাঁও স্টেশনে দেখা গেছে, মেট্রোরেলে চড়তে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়ান যাত্রীরা। কেউ অফিসে যাচ্ছেন, কেউ পরিবারসহ ঘুরতে এসেছেন, আবার কেউ কেউ প্রথম যাত্রী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছেন মেট্রোরেলে চড়তে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনগুলোতে দেখা যায়, যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এর বাণিজ্যিক যাত্রা।
এদিকে মেট্রোরেলে উঠার পর অনেককেই বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। গাজীপুর থেকে আসা উত্তরা স্টেশন থেকে উঠা এক যাত্রী বলেন, শুধুমাত্র মেট্রোরেলে উঠতেই গাজীপুর থেকে এসেছি। এমন আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমাদের দেশে এমন প্রযুক্তিসম্পন্ন একটা মেট্রোরেল প্রবেশ করবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের উদেশে যাওয়া আরেক যাত্রী বলেন, কাজের উদ্দেশেই বের হয়েছি। কাজের জন্যই মেট্রোরেলে চড়েছি বিষয়টি এমন নয়; কাজের পাশাপাশি আমি আমার আনন্দটুকু উপভোগ করতে চেয়েছি। তার জন্যই এ মেট্রোরেলে চড়া।
মেট্রোরেলের সাক্ষী হতে মোহাম্মদপুর থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, আমি শুধুমাত্র মেট্রোরেলে চড়ার জন্য মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরা এসেছি। প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের উপহার দিয়েছেন সেই উপহারের সাক্ষী হওয়ার জন্য আমি এখানে এসেছি।
তেজগাঁও থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, প্রথম ট্রেনের সাক্ষী হওয়ার জন্যই আমি আসছি। আমি ইতোপূর্বে পদ্মা সেতুতেও প্রথমদিন ভ্রমণ করেছি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল - এগুলো আমাদের স্বপ্নের জায়গা, গর্বের জায়গা। এগুলোকে সেলিব্রেট করাই আমার লক্ষ্য, সে জন্যই আমার এখানে আসা। এ সব কর্মকাণ্ডে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মধ্যবয়সী আরেক যাত্রী বলেন, আসলে আমি বিলিভ করতে পারছি না যে, রাজধানীতে মেট্রোরেল হবে। প্রধানমন্ত্রী যখন প্রকল্পটি উদ্বোধন করলেন তখন আমার অনুভূতিটা অন্যরকম হয়েছিল। সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি টিকিট ক্রয় করব এবং প্রথম ট্রেনটিতে যাত্রা করব। সে চিন্তভাবনা নিয়ে আমরা রাত ১১টা থেকে এখানে অবস্থান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ; তিনি আমাদেরকে স্বপ্নের মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: