• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পোশাক রপ্তানি সংকটে পড়তে পারে 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০২ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৪ পিএম
সংকটে পড়তে পারে 
পোশাক রপ্তানি

ডেস্ক রিপোর্টার : পোশাকের দর অনুযায়ী রপ্তানির সময় কেটে রাখা হয় কর। চলতি অর্থবছর পোশাক খাতে উৎসে কর দ্বিগুণ করা হয়েছিল। ফলে কর আগের হারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি বছরজুড়েই করে আসছেন উদ্যেক্তারা। এবার তাঁদের জোরালো প্রত্যাশা ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে প্রধান বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে আসার কথা চিন্তা করে উৎসে কর হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ-সংক্রান্ত কিছু না থাকায় উদ্যোক্তারা হতাশ। তাঁরা বলছেন, এতে সংকটে পড়তে পারে পোশাক রপ্তানি।

অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে উৎসে কর নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তার মানে, আইনে নির্ধারিত উৎসে কর এক শতাংশই বহাল রয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশে ১৯৮৪ এর সপ্তম অধ্যায়ের ৫৩ বিবি ধারায় বলা হয়, যে ব্যাংকের মাধ্যমে একজন রপ্তানিকারকের পণ্যের রপ্তানি আয় গৃহীত হয়, তা ক্রেডিট করার সময় মোট রপ্তানি আয়ের ১ শতাংশ হারে কর কর্তন করবে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানি করলে কর হিসাবে এক টাকা কেটে রাখা হবে।

বিভিন্ন বৈরী পরিস্থিতিতে বিগত বছরগুলোতে এক বছর মেয়াদের জন্য কখনও ২৫ পয়সা, কখনও ৫০ পয়সা হিসেবে উৎসে কর কর্তনের সুবিধা প্রস্তাব করতেন অর্থমন্ত্রী। পরে এসআরও জারির মাধ্যমে তা কার্যকর করা হতো। এ বছর উৎসে কর নিয়ে কোনো প্রস্তাব না থাকার অর্থ, আইন অনুযায়ী বিদ্যমান ১ শতাংশ উৎসে কর বহাল থাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রপ্তানিমুখী শিল্প বহুমুখীকরণ এবং পশ্চাৎসংযোগ শিল্পের প্রণোদনা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। অনিবার্য কারণ ছাড়া কর অব্যাহতির এসআরও জারি পরিহার করা হবে। ফলে এসআরও জারির মাধ্যমে উৎসে কর হ্রাসের সম্ভাবনা কম। অবশ্য রপ্তানি আয় বাড়ানোর উপযোগী কার্যক্রম বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন তিনি। এলডিসি থেকে টেকসই উত্তরণের স্বার্থে শুল্ক কাঠামো সংস্কার করা হবে। ধীরে ধীরে নগদ সহায়তা হ্রাসের কথাও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি রপ্তানি খাতের উন্নতি যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে নগদ সহায়তার বিকল্প অনুসন্ধানেরও চেষ্টা চলছে। যুদ্ধাবস্থার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছর কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাজেটে রপ্তানি-সংক্রান্ত নানা কথা বলা আছে; কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ দেখেননি তিনি। গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় আগামীতেও রপ্তানিতে নেতিবাচক পরিস্থিতি অব্যাহত থেকে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে বিজিএমইএ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image