• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শিগগিরই বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:১৭ পিএম
বাংলাদেশ ও কসোভো সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি
বৈঠকে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেতি

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে শিগগিরই সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেছেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ১১ সেপ্টেম্বর সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’নেতা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটির খসড়া কসোভোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এক মাস আগে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতি পেয়েছি। চুক্তিটিতে সামান্য কিছু সংশোধন রয়েছে। এটি স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি একমত। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে আগামি ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলকে কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে দু’দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে।’ 

কে এম খালিদ বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। বাংলাদেশ যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। একইভাবে কসোভোও দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখি যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে সর্বশেষ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটিতে আমার স্বাক্ষর করার সৌভাগ্য হয়েছিল।’

কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ক্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অন্যদিকে সার্বিয়ান আগ্রাসনের কারণে কসোভোর লোকজনও উপযুক্ত শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো। সে বিবেচনায় দু’দেশই একই ধরনের ইতিহাসের অংশীদার।’ 

ক্রেশনিক আহমেতি বলেন, দু’দেশের সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ একই ধরনের যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি হতে পারে। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেয়ার পর দেশটি এদেশে দূতাবাস চালু করে। তাছাড়া দু’দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা যাতে ভিসা ছাড়াই চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। 

কসোভোকে উৎসবের দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কসোভোতে প্রতিবছর বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব উৎসবে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বিষয়টি আরও সহজতর হবে।

বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। 

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে রিপাবলিক অব কসোভো’র এশিয়া ও ওশেনিয়া বিভাগের প্রধান বেরিশা লিরিজি, বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া, পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার ইমরি হোক্সা এবং রিপাবলিক অব কসোভো দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ভিসার ক্লুনা এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরুল চৌধুরী, যুগ্মসচিব সুব্রত ভৌমিক, উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক অনির্বাণ নিয়োগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image