• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে ঐকমত্য


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৬ এএম
শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে ঐকমত্য
কলম্বোয় জড়ো হয় লাখো বিক্ষুব্ধ জনতা

নিউজ ডেস্ক:  শ্রীলংকায়  নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করায় গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শনিবার (৯ জুলাই) পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। এরপর নতুন সরকার গঠনে কাজ শুরু করে বিরোধী দলগুলো।

খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার পরদিন রোববার (১০ জুলাই) একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসেন বিরোধী নেতারা। এতে ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা পার্টির (এসএলপিপি) বিদ্রোহী অংশের নেতারাও অংশ নেন। বৈঠকে তারা নতুন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার বিভিন্ন উপায় নিয়েও কথা বলেন।

বৈঠকের পর ক্ষমতাসীন এসএলপিপির সংস্কারপন্থী নেতা বিমল বীরাওয়ানসা বলেন, ‘আমরা সবগুলো দল নিয়ে একটা সর্বদলীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছি। এটা এমন একটা সরকার হবে যেখানে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’

শিগগিরই সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে এসএলপিপির আরেক সংস্কারপন্থী নেতা বাসুদেভা নানাইয়াক্কারা বলেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের জন্য ১৩ ‍জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। তার আগেই সরকার গঠন করা হবে।
গোতাবায়া শনিবার (৯ জুলাই) পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনাকে জানিয়ে দেন, আগামী বুধবার (১৩ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন তিনি।

এদিকে প্রধান বিরোধী দল সঙ্গী জানা বালাওয়েগায়া পার্টি (এসজেবি) জানিয়েছে, সরকার গঠন বিষয়ে তারা নিজেদের মধ্যে জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসজেবির সাধারণ সম্পাদক রনজিথ মাদ্দুমা বানদারা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সব দলের অংশগ্রহণে একটা ঐকমত্যের সরকার গঠন। এরপরই আমরা সংসদ নির্বাচনে যেতে চাই।’

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ের পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারে, পার্লামেন্ট স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য রাজাপাকসে সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করে জনগণ। আর এজন্য সরকার পতনের দাবিতে গত মার্চ মাসে বিক্ষোভ শুরু হয়।

মে মাসের শুরুর দিকে সংকট মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়নি। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।

এদিন (৯ জুলাই) সকালেই রাজধানী কলম্বোয় জড়ো হয় লাখো বিক্ষুব্ধ জনতা। একজোট হয়ে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে প্রথমে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। অবশ্য বিক্ষোভকারীদের প্রবেশের আগেই উভয় নেতাকেই তাদের বাসভবন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।

তবে বিক্ষোভকারীরা এখনও পুরোপুরি আস্বস্ত হতে পারছে না। তারা বলছে, প্রেসিডেন্ট গদি না ছাড়া পর্যন্ত সরকারি বাসভবন ছাড়বে না। বিক্ষোভকারীদের একাংশের নেতা রুয়ান্থি ডি চিকারা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হবে ও এই সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।’

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image