
বিজয় কর রতন, (মিঠামইন) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রামে রমজানের শুরু থেকে বিদ্যুৎতের চরম লোডশেডিং চলছে। দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় মাএ ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে গ্রাহকরা।দিনে রাতে মাঝে মাঝে ১ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুৎতের বিল।
চরম তাপদাহে বিদ্যুৎতের এই লোডশেডিং জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশেষ করে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় ও রোজার মাসে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় রোজাদার গণ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।অন্য দিকে ফ্রিজ টিভিসহ ইলেকট্রনিকস সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। মুসল্লীরা জানান, পবিএ রমজান মাসে অনেক বাড়ি ঘরে ঠান্ডা জাতীয় পানীয়সহ ইফতার সামগ্রী ফ্রিজে থেকেও নষ্ট হচ্ছে।
রবিবার ১৬ মার্চ মিঠামইনে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহে কৃষকরা হাওরে ধান কাটতে পারছে না।ধান কাটার শ্রমিকরা জানান,তারা জমির আইলের পাশে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। প্রচন্ড তাপে নদী,নালা, খাল ও বিলের পানিও গরম হয়ে উঠেছে। অনেক শ্রমিকরাই রোজা রাখতে পারছে না। এছাড়াও প্রচন্ড গরমে নানাবিদ রোগের আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এ ব্যাপারে মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো: জসীম উদ্দিন জানান, ইটনা, অষ্টগ্রাম মিঠামইনে বর্তমানে চল্লিশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ গ্রিড থেকে মাএ ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।চাহিদা পূরন না হওয়ায় বিদ্যুৎতের এ লোডশেডিং। তিনি জানান, কমপক্ষে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পেলে লোডশেডিং এর মাএা কমিয়ে আনা যেত।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: