• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় ২০ লাখ টাকাসহ আটক ৬


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০২ পিএম
ডাকাতির ঘটনায়
২০ লাখ টাকাসহ আটক ৬

মোঃ এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী কেরামত আলীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ৮৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম।

গ্রেফতাররা হলেন- সোহাগ মাঝি (২৮), মো. দেলোয়ার (২৬), জয়নাল হোসেন (২৮), মো. সোহেল (২৭), মো. জনি (৩২) ও মো. আজিজ (৫৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা, ওয়্যারলেস ও খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। 
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া, পটুয়াখালী সদর থানা ও ঢাকা মহানগরীর কাজলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দড়িগাঁও বাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপ করে আব্দুল্লাপুরস্থ সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত কেরামত আলীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তারা। ডাকাতির ঘটনায় কেরামত আলী গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ নভেম্বর সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে পটুয়াখালী সদর এলাকা থেকে একজনকে ১৯ লাখ টাকাসহ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েচ মাইক্রোবাস ও এক লাখ টাকাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চক্রটি ডাকাতির করার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ, সিআইডির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করতো ব্যবসায়ীসহ আর্থিক লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যেসব জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই এরকম নিরিবিলি জায়গায় সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভিকটিমদের গতিরোধ করে ভিকটিমদের নামে মামলা বা ওয়ারেন্ট আছে বলে টাকার ব্যাগসহ গাড়িতে তুলে নিয়ে  তাদের সুবিধামতো জায়গায় টাকা বা মূল্যবান সামগ্রি ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যেতো। ডাকাতির কাজে তারা হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস ও খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image