প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের বৌলাই নদীতে চারি-গ্রাম ফেরিঘাটের নিকটে সেতু নির্মাণের দাবী করে আসছে।দীর্ঘ দিন ধরে, ৪ টি ইউনিয়নের মানুষ। কিন্তু কতৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। এই সেতুর জন্য মিঠামইন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ও ইটনার একটি অংশের মানুষ শুকনো মৌসুমে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সেতুটি নির্মাণ হলে,উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে সরাসরি চলাচল করতে পারবে মানুষ। এই সেতুটি নির্মাণ হলে ঢাকী ইউনিয়ন, কাটখাল ইউনিয়ন, বৈরাটি ইউনিয়ন, ও ঘাগড়া ইউনিয়নের সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। একটি সেতুর জন্য হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগ রয়েছে।
এখন বর্ষাকাল এই ৪ মাস মানুষ ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু পানি শুকালে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে। সরাসরি উপজেলা সদর ও জেলা সদরে যেতে হলে। চারিগ্রাম ফেরিঘাটে এসে ছোট নৌকা দিয়ে বৌলাই নদী পাড় হবে। তারপর পাতার কান্দি এসে,অটোরিকশা নিয়ে উপজেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক। বিশেষ করে উপজেলার পূর্বাঞ্চলে কাটখাল ও বৈরাটি ইউনিয়ন নদীর তীর থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে এ ২টি ইউনিয়ন। বৈরাটি ইউনিয়ন থেকে শুকনো মৌসুমে, কাটখাল হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে, এই ফেরিঘাটে এসে ফেরিপাড় হয়।
পূনরায় অটো নিয়ে মিঠামইন যেতে হয়। অন্যদিকে ইটনা উপজেলার একটি অংশ জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের লোকজন চারিগ্রাম দিয়ে অনেক সময় মিঠামইন যাতায়াত করে থাকে।ঘাগড়া ইউনিয়ন ও ঢাকী ইউনিয়নের লোকজন শুকনো মৌসুমে ফেরিপাড় হয়ে,কাটখাল বৈরাটি যেতে হলে, ৩ নদী পাড় হয়ে যেতে হয়। উপজেলা সদর থেকে কোনো কর্মকর্তা, বৈরাটি ইউনিয়ন ও কাটখাল ইউনিয়নে যেতে হলে,এ রাস্তা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। মিঠামইন থেকে পাতার কান্দি ফেরিঘাটের নিকট গাড়ি রেখে নদী পাড় হয়ে মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সা দিয়ে এ দুটি ইউনিয়ন যেতে হয়।
মালামাল পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ব্যাবসায়ীদের। জরুরি কোনো রোগী নিয়ে আসতে পারে না উপজেলা সদরে। অনেক সময় রাস্তায় ও মারা যায় এমন ঘটনাও ঘটেছে। ইতিপূর্বে ঐ ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচেতন মহল এ সেতু নির্মাণের জন্য। মাননীয় সংসদ সদস্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট দাবী জানিয়েছন। কিন্তু সেতু নির্মাণ কতৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।
সেতুর দাবী ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে। ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মোখলেছুর রহমান ভুইঁয়া জানান, এই সেতুটির জন্য যোগাযোগের ক্ষেএে ৪টি ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। একটি সেতুর জন্য কাটখাল ও বৈরাটি ইউনিয়ন উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। বৌলাই নদীর উপর সেতু নির্মাণ জরুরি। কাটখাল ও বৈরাটি যেতে হলে, নদী পাড় হয়ে পায়ে হেটে টমটম দিয়ে যেতে হয়। এতে সময় ব্যায় হয় প্রচুর। কাটখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃতাজুল ইসলাম বলেন,এ সেতু নির্মাণ দীর্ঘ দিনের দাবী। এ সেতুর জন্য শুকনো মৌসুমে কাটখাল ও বৈরাটির মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদরে কোনো সাপ্তাহিক কাজ থাকলে সঠিক সময় পৌঁছানো যায় না।সরকারি এাণ সমগ্রী নিয়েও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না।
সেতু নির্মাণ আমাদের প্রাণের দাবী। জরুরি ভিওিতে সেতু নির্মাণ করা হোক। মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফায়জুর রাজ্জাক জানান,সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, এর আমলে ষ্টাডি প্রজেক্টের মাধ্যমে সেতুর জায়গায় নদীতে সয়েল টেষ্ট করা হয়। সয়েল টেষ্টের কোন কাগজ পএ আমরা পায়নি। এ নদীতে ব্রিজ নির্মাণ একান্ত জরুরী। ব্রিজ না থাকায় ৪ টি ইউনিয়নের লোকজন শুকনো মৌসুমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
কিশোরগঞ্জ ৪ আসনের এম,পি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর সাথে গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন,এ নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।
৪ টি ইউনিয়নের মানুষের শুকনো মৌসুমে যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতু। দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ এ সেতু নির্মাণের দাবী করে আসছে।আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি উপর মহলে যোগাযোগের জন্য। এ সেতু নিয়ে এলাকার লোকজনের দাবী ক্রমশঃ জোড়ালো হচ্ছে। এ সেতুর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / বিজয়কর রতন/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: