নিউজ ডেস্ক
নিজের জীবদ্দশায় বাংলাদেশের স্বার্থ কখনও নষ্ট হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুদ্ধের জের ধরে দেয়া নিষেধাজ্ঞায় অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত।উন্নত ধনী দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও অর্থনীতি সচল রাখতে পেরেছে।তারপরেও এর আঘাতটা তো আমাদের ওপরে আসবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের কথা স্মরণ করে বলেন, খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল।কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। তখন গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল,আন্দোলন হয়েছিল।খালেদা জিয়া ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল।আর ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার বিশদ বিবরণ না দিলেও দিয়েছেন ইঙ্গিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না। কারও হাতে তুলে দেব না। আমার এই প্রতিজ্ঞাই ছিল। হয়তো সে কারণে আমরা আবার আসতে পারিনি। তাতে আমার কোনো আফসোস নেই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশের মানুষের ওপর আবার শোষণ,বঞ্চনা শুরু হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,জাতির পিতা কী চেয়েছিলেন?তিনি চেয়েছিলেন,এ দেশটি হবে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এই সুযোগটা তিনি করে দিয়ে এ দেশটাকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনি তা পারেননি।
ছয় বছরের নির্বাসন জীবন ছেড়ে ১৯৮১ সালে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে দেশে ফেরার কারণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,এই স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ না হয়,স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়,তৃণমূলের মানুষ যেন সেই সুযোগ পায়,সেটা নিশ্চিত করাই ছিল আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর
আপনার মতামত লিখুন: