• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৪ পিএম
হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তার পানি
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক:  যমুনা নদীর পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা কমেছে।তবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠনো খবর :

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অবিরাম বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢলে এ নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। শনিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার স্বাভাবিক প্রবাহ হলো ৫২ দশমিক ১৫  সেন্টিমিটার। 

ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত কয়েক দিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। শনিবার ভোর থেকে আরো বাড়তে থাকে নদীর পানিপ্রবাহ। পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপত্সীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীপাড়ের লোকজন জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলার চরাঞ্চলের ফসলের ক্ষেতগুলো ডুবে গেছে। 

পাউবো তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমার পর ভাঙনের তীব্রতা কমেছে। তবে  বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানিও। শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৭৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২৬ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি কমলেও অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি নদীসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বর্ষণ হলেও যমুনার পানি কমছে। কাজিপুরের সলিড স্পারের ১০০ মিটার ভাঙলেও তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত কর্মচারীরা ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, মেঘাই সলিড স্পারে ভাঙন শুরুর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এতে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image