
সুমন দত্ত: আইনে অপরাধীকে সাজা দেওয়া হয় সংশোধনের জন্য। তবে আমাদের দেশের জেলখানা গুলো সেভাবে তৈরি হয়নি। থানা পুলিশের হাজত খানাগুলো তেমনই। তবে ব্যতিক্রমী এক হাজতখানা কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে ঢাকা রেলওয়ে থানা। সেখানে মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পরিছন্ন এক হাজতখানা।
অল্প আয়তনের সেই হাজতখানায় পড়ার টেবিল, দুই দিকে শোয়ার আসন, দেওয়ালের তাকে সাড়ি সাড়ি বই রাখা হয়েছে। দেখলে ছোট খাট একটি রিডিং রুম মনে হবে। রুমের শেষ প্রান্তে আছে টয়লেট। থানায় আটক ব্যক্তি হাজতে আছেন এমনটা কখনই মনেই হবে না। এছাড়া থানা পুলিশের কাজকে আগের চেয়ে আরো গতিশীল করতে পুরো অফিসের সেটআপ বদলানো হয়েছে। এতে ডিউটি অফিসারদের সেবার মান আগের চাইতে আরো উন্নত হয়েছে। এমনটাই দেখা গেল সেখানে।
ঢাকানিউজ২৪ডটকমের প্রতিনিধিকে পুরো থানা ঘুরিয়ে দেখান এস আই বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আগে রেলওয়ে থানা এরকম ছিল না। এখন এসপি স্যার সাইফুল্লাহ আল মামুনের উদ্যোগে থানার সংস্কার করা হয়েছে। সাময়িক আটক ব্যক্তিরা হাজত খানাকে রিডিং রুমের মতো ব্যবহার করবেন এমন ভাবনা থেকে এটা করা হয়েছে।
এছাড়া থানায় আছে নারী শিশু বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সার্ভিস। পুরো থানার কার্যক্রমকে একটি পেশাদার অফিসের রূপ দেওয়া হয়েছে। ডেস্কে সব সময় দুই থেকে তিনজন কাজ করছেন। বাকীরা মোবাইল ডিউটি করছেন।
এসপি সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাজতখানায় বিভিন্ন বাণী হয়ত দেখেছেন। লোকজন এসব দেখে সংশোধন হতে পারেন। এ উদ্দেশ্য থেকে এসব লেখা হয়েছে। নিজে সাহিত্য চর্চা করেন। তাই বইয়ের প্রতি আকর্ষণ তার। রবীন্দ্রনাথ নজরুল পড়েন। সবাইকে পড়ার প্রতি উৎসাহ দিতে হাজতখানায় বইয়ের সেলফ করেছেন বলে তিনি জানান।
থানার ওসি মো: মাজহারুল হক বলেন, আমাদের কাজ লোকজনকে সেবা দেওয়া। এসপি স্যারের নেতৃত্বে আমরা আগের চেয়ে দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে কাজ করছি। থানার কোনো সমস্যা পেনডিং থাকছে না। কিছু সময়ে জন্য হাজত খানায় এসে কেউ বোরিং ফিল করবে না। এমনটাই আমাদের আশা।
কমলাপুর রেলওয়ে থানায় পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন
রেল পুলিশের সংস্কার করা ভবন
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: