• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইউয়ান ও রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৩ পিএম
রুপির ব্যবহারের জন্য রপ্তানিকারকদের আহ্বান
ইউয়ান ও রুপি

নিউজ ডেস্ক: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেন পরিহারের কোনো নির্দেশনা পায়নি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ অফিস। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে পাঠানো এক চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ বিষয়ে প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে এসবিআইর কান্ট্রি হেড অমিত কুমার এ চিঠি দিয়েছেন।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। গত ২৪ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্র মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি তার শাখাগুলোতে দেওয়া এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে টাকা ও রুপির ব্যবহারের জন্য রপ্তানিকারকদের আহ্বান জানাতে বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মুদ্রার বাইরে অন্য মুদ্রায় লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে নিতে হবে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। যদিও অনেক দেশ এখন ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের জন্য কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ভারতের কোনো পর্যায়ে আলোচনাই হয়নি। সিদ্ধান্ত তো অনেক দূরের বিষয়। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। ফলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মুদ্রার বাইরে লেনদেন করা দুরূহ।

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে এতো বেশি বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে টাকা ও রুপিতে লেনদেন করতে হলে ডলার দিয়ে রুপি কিনতে হবে। এরপর আবার রুপিতে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে হবে। সেখানে মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসানের ঝুঁকি থাকবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে পাঁচটি মুদ্রা 'রিজার্ভ মুদ্রা' হিসেবে আইএমএফ স্বীকৃত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে চীনের মুদ্রা ইউয়ান রেনমিনবি ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ মজুত রয়েছে ইউএস ডলারের। বাংলাদেশের বর্তমানে যে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ রয়েছে তার ৮৫ শতাংশের মতো ডলারে। রিজার্ভের বাকি অর্থ রয়েছে স্বর্ণ, ইউরোসহ অন্যান্য মুদ্রায়।

চীনের মুদ্রা ২০১৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মুদ্রা হলেও গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ইউয়ানে করেসপন্ডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও ২০১৮ সাল থেকে ব্যাংকগুলো চায়না মুদ্রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। চীনের মুদ্রা ইউয়ানে করেসপন্ডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনার চার দিনের মাথায় টাকা ও রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেন হতে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image