নিউজ ডেস্ক
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মনে করেন সব সেক্টরেই ভালো-মন্দ দুই ধরনের লোকই আছে। আবাসন খাতেও দখলদার রয়েছে বলে বদনাম আছে। তবে এই খাতের সবাই দখলদার নয়,অনেকে ভালো আছেন।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
তাজুল ইসলাম বলেন, জিডিপিতে আবাসন কোম্পানিগুলো অবদান রেখে যাচ্ছে। ড্যাপ বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এই সেক্টরকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তারপর কিছু সমস্যা সামনে আসছে, যেগুলো সমাধানের কাজ চলমান।
প্রতিটি সেক্টরে কিছু খারাপ লোক রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,আমি একজন শিক্ষক ছিলাম। নানা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি। দেখেছি প্রতিটি পেশায় কিছু মন্দ লোক থাকে। কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।
এ সময় ড্যাপ বাস্তবায়ন করে আবাসন ব্যবসা এগিয়ে নেওয়াসহ ছোটখাটো সমস্যা সমাধানে এই খাতের ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আল-আমিন সামছুল আরেফিন কাজল ড্যাপসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, নানা সমস্যার মধ্যে আবাসন ব্যবসা চলছে। নির্মাণসামগ্রীর লাগামহীন দাম বৃদ্ধি এর অন্যতম। এই সেক্টর জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখছে। কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
মেলা প্রসঙ্গে রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (অর্থ) ও মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২’-এ আপনাদের সবাইকে অগ্রিম আমন্ত্রণ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২২ বছর ধরে সফলভাবে রিহ্যাব ফেয়ারের আয়োজন করে আসছি আমরা। আগেই বলেছি, সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। সামনে হয়তো আরও বাড়বে। রিহ্যাব আয়োজিত এ বছরের ফেয়ার হতে পারে ক্রেতাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এবারের ফেয়ারে ১৮০টি স্টল থাকছে। এই ফেয়ারে তিনটি ডায়মন্ড প্যাভিলিয়ন, সাতটি গোল্ড স্পন্সর, ২২টি কো-স্পন্সর, ১৬টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৩ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২ এই ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড, রূপায়ন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এবং আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রডাক্ট লিমিটেড, ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেড, ডোম-ইনো বিল্ডার্স লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাইভেট) লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, র্যাংস প্রপার্টিজ লিমিটেড ও শেলটেক প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করছে সর্বমোট ২২টি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: