নিউজ ডেস্ক : ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের একটি ভবনের পাঁচতলার ছাদে নিয়ে হিমাদ্রীকে মারধরের পর কুকুর লেলিয়ে দেয়া হয়। পরে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। ওই বছরের ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান এ-লেভেলের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী।
চট্টগ্রামে ১০ বছর আগে কুকুর লেলিয়ে ছাত্র হিমাদ্রী মজুমদারকে হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এ মামলায় দুইজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেয়।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা তিন জন হলেন- মাহাবুব আলী ড্যানী, জুনায়েদ রিয়াদ ও তার বন্ধু জাহিদুল ইসলাম শাওন।
আর খালাস পেয়েছেন শাহ সেলিম ওরফে টিপু ও শাহাদাত হোসেন সাজু।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরু। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইয়াছিন সিকদার।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হিমাদ্রি হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় চট্টগ্রামের একটি আদালত।
বিচারিক আদালত রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এ রায় দিল।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের একটি ভবনের পাঁচতলার ছাদে নিয়ে হিমাদ্রীকে মারধরের পর কুকুর লেলিয়ে দেয়া হয়। পরে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। ওই বছরের ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান এ-লেভেলের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী।
হিমাদ্রী হত্যার ঘটনায় তার মামা অসিত কুমার দে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: