মোঃ এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশপথের মুখগুলোসহ কেরানীগঞ্জের সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার প্রবেশপথ চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু, দ্বিতীয় সেতু ও তৃতীয় সেতুতে (বছিলা সেতু) এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলাের কদমতলি প্রধান সড়কের একপাশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা চেয়ার পেতে বসে আছেন। এই সময় তাদের বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এছাড়া মাঝে মাঝে মোটরসাইকেলেও তাদের শোডাউন দিতে দেখা যায়।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি যাতে সমাবেশের নামের কেরানীগঞ্জে কোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা চালাতে না পারে, তাই তারা বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে তারা সেটা প্রতিহত করবেন বলে জানান তারা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মাহমুদ আলম বলেন, বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করেছে। গণপরিবহনে পেট্রোল বোমা মেরে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। তাই বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নির্দেশে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তায় রয়েছেন। যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে পারেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় রয়েছেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থতি মোকাবিলায় সারাদিন তারা রাস্তায় থাকবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। উপজেলার সঙ্গে বুড়িগঙ্গা সংযোগ সেতু, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক, গুলিস্তান-বান্দুরা সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি। এছাড়া কদমতলি, চুনকুটিয়া এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।l
সড়কের পরিস্থিতি নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন-অর রশীদ বলেন, আমাদের চেকপোস্টের কার্যক্রম আজও রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে তেমন গণপরিবহন নেই৷ খুব অল্প সংখ্যক গাড়ি রাস্তায় চলছে। কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সড়কে আছি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, কেরানীগঞ্জে অতিরিক্ত দু'শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও ১৬ ডিসেম্বরকে ঘিরে জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কায় আমাদের এই কার্যক্রম চলছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও সাভারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশ রয়েছে। বৃহৎ দুটি দলের সমাবেশের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নাশকতাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটাতে পারে, সে জন্য সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: