নিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে তীব্র যানজটে দিনকে দিন মন্থর হচ্ছে নগর জীবন। বুয়েটের গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য, প্রতিবছর যানজটে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর জন্যে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার সংস্কৃতিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, রাজধানীতে যানজটের কারণে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। আর এমন যানজটের অন্যতম কারণ যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা।
প্রতিদিন যানজটে নাকাল হলেও নিয়ম মানতে নারাজ নগরবাসী সঙ্গে বাস চালকরাও। কেউ কেউ দায় এড়াতে ভান ধরছেন ব্যস্ততার। তবে বেশিরভাগই স্বীকার করলেন, এ রকম অনিয়মের কারণেই দীর্ঘ হচ্ছে যানজট।
দুই সিটিতে মোট ১২০টি বাস স্টপেজ নির্ধারণ করে দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। তারপরও নির্ধারিত স্থানে বাস না থামার কারণ জানতে গেলে কেবলই অভিযোগের কাদা ছড়াছড়ি যাত্রী আর পরিবহন শ্রমিকদের।
এর থেকে বেরিয়ে আসতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের জরিমানার মাধ্যমে জবাবদিহিতার মধ্যে এনে আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, চালকরা যদি যত্রতত্র না থামান, তাহলে আমি হাত তুললেও উঠতে পারবো না। এভাবে আমি যখন দুদিন দেখবো যে হাত তুললেও বাস থামে না, তখন আমি কিন্তু ঠিকই বাসস্টপে যাবো।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান সময় সংবাদকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাংশন থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা গেলে যাত্রীরাও কিন্তু জাংশনে থামতে চাইবে না। এখন জাংশনে নামতে চায় এ কারণে যে নেমেই কিন্তু তারা সেকেন্ডারি মুড পেয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাটাতে আমাদের পরিকল্পনাটা হতে হবে, যাতে জাংশনটা ক্লিয়ার রাখা যায়। মনে রাখতে হবে, জাংশনটা কিন্তু আমাদের হৃদপিণ্ড।
সড়কে যানবাহনের গতি ফিরিয়ে জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে গণপরিবহনকে সরকারি উদ্যোগে একক কোম্পানির আওতায় আনার আহ্বান জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: