
মো : জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগান নানা বাড়ি থেকে রাতে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হয় কিশোর নাঈম মিয়া (১৪) । ১৮ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ উদ্যোগে অপহরণ হওয়া কিশোর নাঈম কে উদ্ধার করে।
এর আগে ০৬ অক্টোবর নাঈমের পিতা আইনুদ্দিন (৩৫) অনেক খোঁজাখুঁজি পরে তাকে না পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি করেন।
২২ অক্টোবর ফোন কল ও বিকাশে মুক্তিপণ চাওয়া ব্যক্তি নাঈমের পিতা আইনু উদ্দিন কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাইলে র্যাব ও পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে মৌলভীবাজার দক্ষিণ বারন্তী গ্রাম থেকে আব্দুল বারী চৌধুরীর ছেলে অপহরণকারী মহিবুল হক চৌধুরী (৪৯) কে শ্রীমঙ্গল র্যাব-০৯ ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয় ।
অপহরণকারীরা নাঈমকে ঢাকার একটি গলির গোডাউনের অন্ধকার রুমে আটকিয়ে রাখে । নাঈম জানায় একজনের আটকের খরব ছড়িয়ে পড়লে তারা আমাকে রাস্তায় একটি ফোনের দোকানে নিয়ে রেখে আসে।আমি সেখান থেকে বাবাকে কল করলে পুলিশ ও র্যাব আমাকে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসে।
অপহরণ হওয়া নাঈমের পিতা মোঃ আইনু উদ্দিন জানান, আমার ছেলে তার নানা বাড়ি ভাড়াউড়া চা বাগান বস্তি থেকে কলেজ রোডে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।পুলিশের পাশাপাশি পরে শ্রীমঙ্গল র্যাব-০৯ কে জানালে তারাও মাঠে কাজে নামে ছেলের খোঁজে।হঠাৎ একদিন আমার ফোনে কল আসে আপনার ছেলে নাঈম হাসপাতালে ভর্তি তার চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠাতে। আমাদের কোন ঠিকানা বলে না। আমাদের টাকা নিয়ে ঢাকাতে যেতে বল্লে আমরা ঢাকাতে গিয়েও অপহরণকারী ও আমার ছেলে কে পাইনি।
তিনি আরোও জানান, ঢাকায় গিয়ে পাইনি পরে আমাদের কে কল করে বলে আমার ছেলে চট্রগ্রামে আছে সেখানে ১ দিন থাকার পরে বলে সিলেট এভাবে আমাদের ঘোরাতে থাকে।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার এস আই মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, উদ্ধার হওয়া নাঈমের পিতা সাধারণ ডায়েরি করে। ফোন কলের সূত্র ধরে মৌলভীবাজার থেকে মহিবুল হক চৌধুরীর নামে একজন কে আটক করি। আমাদের সাথে র্যাব পুরো উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সাড়ে রাত ১১ টায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেস্কের অফিসে নাঈমের পিতা আইনুউদ্দিন এর কাছে ছেলে কে র্যাব ও পুলিশ হস্তান্তর করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: