• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

এলএনজি আমদানি বাড়াচ্ছে ইইউ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৫৫ পিএম
এলএনজি সরবরাহ নিয়ে যে সমস্যায় পড়েছিল
এলএনজি আমদানি

নিউজ ডেস্ক:  তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়াতে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মূলত রাশিয়ার সরবরাহের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতেই এ উদ্যোগ। খবর মার্কেট ইনসাইডার। ৯ মার্চ ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিক এক টুইট বার্তায় জানান, ইইউ আগামী বছর থেকে আরো আটটি এলএনজি টার্মিনাল যুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে এর ২৭টি এলএনজি মজুদের টার্মিনাল রয়েছে।

মারোস সেফকোভিক আরো জানান, অতিরিক্ত টার্মিনাল স্থাপনের ফলে ইইউর ২৭টি সদস্য দেশ গত বছর এলএনজি সরবরাহ নিয়ে যে সমস্যায় পড়েছিল তা দূর হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থেকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে ইউনিয়নের গ্যাস মজুদের সক্ষমতা ১৭ হাজার ৮০০ থেকে ২২ হাজার ৭০০ কোটি ঘনমিটারে উন্নীত হবে।

২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে ইইউ। ইউরোপিয়ান এনার্জি কমিশনার কাদরি সিমসন ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে এলএনজি বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সব সদস্য দেশ ও সংস্থাকে রাশিয়ার এলএনজি কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এছাড়া বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে নতুন কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না করার কথাও জানান তিনি।

এক বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বের চক্ষুশূলে পরিণত হয় রাশিয়া। এরপর গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে জ্বালানি যুদ্ধ শুরু করে। মৃদু শীতে আচ্ছন্ন থাকা ইউরোপ জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করেছে। রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল থাকা মহাদেশটি যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিকল্প উৎস থেকে এলএনজি আমদানি বাড়িয়েছে। গত বছর পণ্যটির আমদানি ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল।

সিমসন বলেন, ‘‌আমদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়ার গ্যাস নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এজন্য আমাদের সরবরাহ নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে। অন্যদিকে ইইউ সমুদ্রে ভাসমান আমদানি টার্মিনালের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। নতুন পাইপলাইন নির্মাণ ছাড়াই অন্য সরবরাহকারীদের থেকে এলএনজি আমদানির সুযোগ রয়েছে। যদিও ইউরোপ বিকল্প উৎস থেকে এলএনজি আমদানি করছে, তবে এর চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যগত সমস্যা থাকবে।

গত মাসে ব্রিটিশ শক্তি জায়ান্ট শেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার গ্যাস না পেয়ে ইইউকে ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। গত বছর চীনের চাহিদা কম থাকায় ইউরোপের এলএনজি আমদানি বেড়েছিল। কিন্তু এ বছর আমদানি বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দুই বছরের মধ্যে ইউরোপকে তীব্র বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে। কারণ ইউরোপের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে এলএনজিও সরবরাহ বাড়ছে না। 

শেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের উচ্চচাহিদার কারণে এলএনজির দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলে বৈশ্বিক এলএনজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাজারে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি খাতকে প্রভাবিত করতে পারে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image