স্টাফ রিপোর্টার, জহুরুল ইসলাম সানি : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত করতে না পারলে দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। নতুন বই যেভাবে শিশুদের আনন্দিত উজ্জীবিত অনুপ্রাণিত করে, সেই অনুপ্রারণায় আজকের শিশুরা আগামীর আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে।
রোববার (০১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত "বই বিতরণ উৎসব ২০২৩" এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নতুন বই শিশুদের কাছে ফরম প্রাপ্তি। নতুন বই শিশুকে বিমুগ্ধ ও বিমোহিত করে, বইয়ের গান শিশুকে বিভোর করে। নতুন বইয়ের পৃষ্ঠা শিশুকে কৌতুহলী করে তোলে। শিশুর মনোজগতের এ আবেগকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শতভাগ নতুন পাঠ্যবই প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি, ১৯ লাখ, ৮৪ হাজার, ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হবে। প্রাক প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি আমার বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রা-প্রাথমিক এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর সর্বমোট ২ লাখ, ১২ হাজার ১৭৭টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, এমপি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান এমপি বলেন, শিশুদের মাঝে পাঠ্য বইকে আরো চিন্তাকর্ষক গড়ে তোলার জন্য ২০১২ সাল হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক চাররঙের আকর্ষণীয় মুদ্রণ ও বাধাই করে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ব্র্যান্ডের এপ্রোস প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বই বিতরণী উৎসবের সভাপতির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও ঐকান্তিক আগ্রহে ২০১০ সাল থেকে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার যে মহতী যাত্রা সূচনা হয়েছিল আজ তা যুগ পেরিয়ে যুগান্তরে পদার্পণ করেছে। এটি এখন বর্ণিল উৎসবে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশে এই উৎসবের সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বই বিতরণী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। অনুষ্ঠানের রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম-পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপিসহ সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সকল শিশুর মধ্যে শতভাগ নতুন বই তুলে দেয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের মধ্যে তাদের নিজস্ব বর্ণমালার বই সরবরাহ বছরের শুরুতেই শিশুদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সফলতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ৩০০০ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মাননীয় সংসদ, বেগম শিরিন আক্তার, মাননীয় এমপি ফেনী ১, বেগম ফেরদৌস ইসলাম মাননীয় এমপি, মহিলা আসন ৩৮।
এছাড়াও ২০২২ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশী নারী ফুটবল দলের (৫) সদস্য - সোহাগী কিষ্ণাঙ্গ, সাজেদা খাতুন, সাথী বিশ্বাস ও সূত্রা রাণী; যারা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছেন তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে এক মনোগো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: