কাঁঠালিয়া প্রতিনিধি : বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলাধীন কাঠালিয়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ : ২৬ নভেম্বর ২০২০ সালে যোগদানের পর থেকেই এই কমর্কর্তা মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক শুমারী ২০২১ আদমশুমারি গণনার জন্য বরাদ্দকৃত টাকার অধিকাংশ টাকাই উপস্থিত ব্যক্তিদের ভূয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে আত্মসাত করেছেন।
এছাড়াও যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের উপস্থিত দেখিয়ে পুরো টাকা জাল স্বাক্ষর করে আত্মসাত করেছেন।কাঁঠালিয়া উপজেলার কর্মকর্তা মামুন দাখিলকৃত ব্যয় বিল মনগড়াভাবে কেটে নিচ্ছে মনের মতো কাউকে দুই হাজার টাকা, কাউকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন আবার ব্যক্তিগত অপছন্দের কারণে ভ্রমণ ব্যয়ের বরাদ্দকৃত টাকা পাস করিয়ে বছর শেষে টাকা নিজে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাঠালিয়া তিনি নিজে আয় -ব্যয় দায়িত্ব পালন করেন।
কাঠালিয়া উপজেলার বেহাল অবস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিসের খানা ব্যয় সন্দেহ জনক ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি পছন্দের বাইরে অনেককে অফিসের প্রবেশ না করার হুমকী প্রদর্শনও করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি কথায় কথায় কাঠালিয়া উপজেলার মানুষ বলে অফিসে আসা মানুষের উপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এই কর্মকর্তার সাথে কারো সাথে সুসম্পর্ক নেই।
একাধিক অনুসন্ধান করার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্টে দিনব্যাপী সরেজমিনে তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে কাঠালিয়া উপজেলার পরিসংখ্যা অফিসের ভুক্ত ভোগীর মধ্যে নানা কারণে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের মো. মামুনে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে ঝালকাঠি তদন্ত হবে। তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে অভিযোগ সত্য না মিথ্যা।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী বলেন অবিলম্বে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: