• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কিশোরগরঞ্জ পাগলা মসজিদে এবার মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৫ পিএম
কিশোরগরঞ্জ পাগলা মসজিদে
৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩ মাস ২৬ দিনে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। আগে দানের এই অর্থ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নসহ গরিব মেধাবী ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হলেও এবার পাগলা মসজিদের স্থানে আন্তরর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোর কাজে এসব টাকা ব্যয় করা হবে। তাই ব্যাংকে জমানো হচ্ছে এসব টাকা, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মসজিদের লোহার প্রতিটি দানসিন্ধুক যেন টাকার খনি। খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তা ভরে নেওয়া হয় ঐ মসজিদেরই দোতলায়। 

পরে মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন প্রায় দেড়শ মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিন মাস পরপরই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে। এবার তিন মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় মসজিদের ১০টি দানবাক্স খুলে বের করা হয় ২৮ বস্তা টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণালংকার। এর আগে, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল এ মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ বস্তা টাকা। গণনা করে দিনশেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রূপার অলংকার। কথিত আছে, এ মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়াসহ বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয় এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু, ছাগল, হাস, মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন। দানবাক্সের নগদ টাকা ছাড়াও প্রতিদিন পাওয়া গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিনই বিক্রি করে টাকা রূপালী ব্যাংকে রাখা হয় বলে জানায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদের আয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ। জনশ্রæতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তকুল সমবেত হয়। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image