নিউজ ডেস্ক: কাউখালীতে দেশি ও উন্নত জাতের করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভালো ফলন পেয়েছেন বলে তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বাজারে সবজির কাঙ্ক্ষিত দামেও পাচ্ছেন। কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ জুড়ে রয়েছে করলা। বাজারে দাম বেশি পাওয়ার আশায় এলাকার কৃষক ধান, কুমড়া, আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম করলা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের জোলাগাতী গ্রামে ৫০ শতক জমিতে উন্নত জাতের নিহারিকা করলার চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক সেলিম শরীফ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে করলার চাষে মাঠ সবুজ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গত পৌষের শেষের দিকে জমি প্রস্তুত করে করলার চারা রোপণ করেন। সুযোগ বুঝে এরই মধ্যে মাচা তৈরি করে চারা রোপণ করেন। ৫০ শতক জমিতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরিতে এবং শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। চারা রোপণের ২০ দিনের মধ্যে ফুল এবং ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। করলাখেত থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ মণ করলা বিক্রি করেছি এবং করলার দাম বাজারে খুব ভালো থাকায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
তিনি বলেন, করলা শেষ হওয়ার পর অন্য ফসল মাচায় উঠে যাবে। একই মাচায় অন্য ফসল আবাদ করা হলে মাচা তৈরির খরচটা লাগবে না। এছাড়া তিনি মনে করেন ধানের আবাদের চেয়ে সবজির আবাদ লাভজনক। স্বল্প সময়ে সবজি বাজারজাত করা যায় এবং নিয়মিত টাকা পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র ভদ্র বলেন, উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক করলার চাষ হয়েছে। স্থানীয় করলাসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড করলা চাষ করে থাকে কৃষকরা।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলী আজিম শরীফ বলেন, এ মৌসুমে কাউখালীতে করলার সঙ্গে বিভিন্ন সবজির চাষ করা হয়েছে। উন্নত জাতের করলা প্রায় সারা বছরই আবাদ করা যায়। উপজেলার অনেকেই এখন বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগামীতে উপজেলায় অধিক জমিতে করলার চাষ করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: