
ডেস্ক রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে গণমাধ্যমে উঠে আসা যেকোনো অনিয়ম-সংকট তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, কুমিল্লা নির্বাচনে রাজনৈতিক চাপ ছিল না। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনও সন্তোষজনক হয়েছে। তবে প্রার্থীরা সহনশীল না হলে কমিশনের পক্ষে নির্বাচনে সংঘর্ষ, সহিংসতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও জানান সিইসি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, সমালোচনা গঠনমূলক হলে গ্রহণ করা হয়। পাঁচ বছর কাজ করেছি। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রয়েছে। সুশীল সমাজ সমালোচনা করবে না কেন, সমালোচনা হবেই, হতেই হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত, তা না হলে এই প্রতিষ্ঠান থাকবেনা।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে কাজ করার সুযোগ দেননি বলেই তিনি সমালোচনা করেন। কমিশনে বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে।
সাবেক সিইসি শামসুল হুদা হঠাৎ করেই ছবক শিখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সিইসি। সিইসি বলেন, তিনি সুজনকে সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনে কাজ করতে দেননি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা থাকলেও সেই কমিশন সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, নির্বারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেনি।
নির্বাচন কমিশন আইন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি ব্যবস্থা ভালো, তবে আইন হওয়া সবচেয়ে ভালো।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: