ডেস্ক রিপোর্টার: মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে সম্প্রতি আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসংক্রান্ত গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতার পরিমাণ ৫০০ থেকে ১০০ বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সায় দেয়নি।
গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের সরকার মাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা দিত। পরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়। টানা ছয় বছর ধরে ভাতার পরিমাণ একই রয়েছে।
এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অংকের হিসাবে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সার্বিকভাবে বরাদ্দ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে উপকারভোগীর সংখ্যাও। নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেখানো হবে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে বরাদ্দ করা হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
যদিও নতুন করে ১১ লাখ ব্যক্তিকে এই খাতের আওতায় আনার উদ্যোগ থাকবে সরকারের তবে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে অনিয়ম রয়েছে, তা দূর করার ব্যাপারেও বাজেটে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
দুই বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১১২ উপজেলায় ভাতা দেওয়া হতো। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাড়ানো হয় আরও ১৫০ উপজেলায়। ফলে বর্তমানে ২৬২টি উপজেলায় বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এবারে আরও ১০০ উপজেলায় এই কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। তাতে দেশের ৬৪ জেলার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার আওতায় মোট উপজেলার সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৬২।
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৫৭ লাখ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। আগামী অর্থবছরে ১১ লাখ বাড়ানো হলে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৮ লাখে উন্নীত হবে। এ ছাড়া বর্তমানে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পান ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জন।
১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: